ফার্ম মেশিনারি শপে ব্যবহৃত টুলস

এসএসসি(ভোকেশনাল) - ফার্ম মেশিনারি-১ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | | NCTB BOOK

ফার্ম মেশিনারি শপ বা কারখানায় যন্ত্রপাতির সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের ধাতুর উপর কাজ করা, ধাতব খণ্ড জোড়া দেওয়া, ধাতব পাত (Metal Sheet) দ্বারা প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি তৈরি করা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কাজ করা হয়ে থাকে । ধাতু দ্বারা ব্যবহার উপযোগী বিভিন্ন সামগ্রী ( Product) তৈরি বা সংযোজন করতে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি বা টুলস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ অধ্যায় টুলসের প্রকারভেদ, বিভিন্ন প্রকার টুলসের নাম, টুলসের ব্যবহার, টুলসসমূহের প্রয়োগ যেমন- (সয়িং, ফালিং, ড্রিলিং, চিপিং, স্ক্যাপিং, গ্রাইন্ডিং ও ক্রু থ্রেড) ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

Content added By

ফার্ম মেশিনারি শপে ব্যবহৃত হ্যান্ড টুলস (Use of Farm Tools Machinery Shop)

টুলস (Tools) : 
টুলস (Tools) হচ্ছে ফার্মশপ বা কারখানায় ব্যবহারিক কাজে ব্যবহৃত এক প্রকার যন্ত্রাদি । ফার্ম মেশানারি বা মেশিন শপে যে সব যন্ত্রপাতির সাহায্যে জব তৈরি করা বা ব্যবহারিক কাজ করার জন্য ধাতব শিট বা ধাতব খণ্ডের উপর পরিমাপ করা, দাগ দেওয়া বা চিহ্নিত করা, ধাতব পদার্থ সোজা বা বাঁকা করা, কর্তন করা, জোড়া দেওয়া, পরীক্ষা করা ইত্যাদি সম্পাদন করা হয় সে সব যন্ত্রপাতিকে একত্রে টুলস বলে ।

ফার্ম মেশিনারি শপে বিভিন্ন কাজে যে সব হ্যান্ড টুলস ব্যবহার করা হয় নিম্নে তাদের নাম উল্লেখ করা হলো। যেমন- 
১। হ্যামার বা হাতুড়ি ( Hammer) 
২। ফ্লাট ক্রু ড্রাইভার (Screw Driver) 
৩। স্টার স্ক্রু ড্রাইভার (Star Driver) 
৪। কম্বিনেশন প্লায়ার্স (Comination Pliers) 
৫। কম্বিনেশন রেঞ্চ (Combination Wrench ) 
৬। অ্যাডজাস্টেবল রেঞ্চ (Adjustable Wrench) 
৭। সিঙ্গেল এন্ডেড স্প্যানার/ এক মুখি রেঞ্চ (Single Ended Wrench) 
৮। ডাবল এন্ডেড স্প্যানার/ দুই মুখি রেঞ্চ/ (Double Ended Spanner) 
৯। রিং রেঞ্চ (Ring Wrench ) 
১০। সকেট রেঞ্চ (Socket Wrench ) 
১১। টেবিল ভাইস (Table Vice ) 
১২। হ্যান্ড ভাইস (Hand Vice)

Content added By

ফার্ম মেশিনারি শপে ব্যবহৃত টুলস এর শ্রেণি বিভাগ বা শ্রেণি বিন্যাস (Classification Tools of Farm Machinery Shop)

টুলস এর শ্রেণি বিন্যাস (Classification of Tools)
একটা ফার্মাগে নানা ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। মেশিনারি ফিটিং-এর কাজে, মেটাল শিটের বিভিন্ন কাজে এবং অন্য যন্ত্রের সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত টুলসসমূহকে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করা যেতে পারে। যেমন- 
ক) হ্যাভ টুলস বা যৌগিক হাত বয় ( Hand Toals) 
খ) মেজারিং টুলল বা পরিমাপক নয় (Measuring Tools) 
গ) মার্কিং টুলস বা চিহ্নিতকরণ বন্ধ (Marking off tools/ Layout Tools) 
ঘ) কাটিং টুলস বা কাটার যন্ত্রপাতি (Cutting Tools) 
ঙ) টেস্টিং টুলস বা পরীক্ষা করার যন্ত্র (Testing Tools)

উপরের প্রতিটি শ্রেণির টুলুদের প্রকারের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো :

ক. হ্যান্ড টুলস (Hand Tools) :-
যে সব যন্ত্রপাতি হাত দিয়ে ব্যবহার করা হয় সেগুলোকেই সাধারণত হাত যত্ন বা হ্যান্ড টুলস বলা হয়ে থাকে। কোনো যন্ত্র বা মেশিনারি ফিটিং-এর কাজে, মেটাল লিটেরা বিভিন্ন কালে এবং অন্য যন্ত্রের সহারক হিসেবে সাধারণত মৌলিক হাত যত্ন বা বেসিক হ্যান্ড টুলস (Basic Hand Tools) ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফার্মশপে যে সব হ্যান্ড টুলস ব্যবহার করা হয় নিচে সে ধরনের কিছু টুলস এর নাম উল্লেখ করা হলো :

খ. মেজারিং টুলস বা পরিমাপক যন্ত্র (Measuring Tools) 
যেসব ডিভাইস বা যন্ত্র দিয়ে কোনো করে বা যন্ত্রাংশের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা, ন্যাস ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার মাপ গ্রহণ করা হয় বা পরিমাণ পাঠ করার কাজে ব্যবহার করা হয় তাকে পরিমাপক যন্ত্রপাতি বা মেজারিং টুলস বা ইনট্রুমেন্ট ? বলা হয় । ফার্মশপে বিভিন্ন পরিমাপক কাজে ব্যবহৃত কিছু যন্ত্রপাতির নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো ।

খ. মার্কিং টুলস বা চিহ্ন य (Marking tools / Layout Tools) 
কোনো ধাতব খঙ বা মেটাল পিট দ্বারা কোনো কার্য নয় বা ওয়ার্ক পিস তৈরি করতে হলে অথবা একাধিক শিট মেটাল জোড়া দিতে হলে কাজ শুরু করার আগে ধাত বা শিট মেটালের উপরিভাগে মাপ বা নকশা (Drawing) মোতাবেক কাজগুলো রেখা টেনে চিহ্নিত করে নিতে হয়। এভাবে রেখা টেনে বা চিহ্নিত করে নেয়াকে লেয়িং আউট (Laying out) বা লে-আউট (Layout) বলে। এভাবে লে-আউট করার জন্য যে সব যন্ত্রপাতি হ্যান্ড টুলস ব্যবহার করা হয় তার একটা তালিকা নিম্নে উল্লেখ করা হলো :

ঘ. কাটিং টুলস বা কাটার যন্ত্রপাতি (Cutting Tools ) 
যে সব ডিভাইস বা যন্ত্র দিয়ে কোনো ধাতব বস্তু কাটা, নির্দিষ্ট আকার প্রদান করা হয় বা ক্ষর করার কাজে ব্যবহার করা হয় তাকে কাটার যন্ত্রপাতি বা কাটিং টুলস বা ইনস্ট্রুমেন্ট বলা হয় । ধাতু কাটার কাজে ব্যবহৃত কিছু যন্ত্রপাতির নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো :

ঙ. টেস্টিং বা ক্ষণ করার যন্ত্র (Testing Tools) 
কোনো ধাতব খণ্ড বা মেটাল শিট দ্বারা কোনো কার্য বস্তু বা ওয়ার্ক পিস তৈরি করার পর তা নকশা (Drawing) বা মাণ মোতাবেক সঠিক হলো কিনা তা পরীক্ষা করার প্রয়োজন হয়। যেসব যন্ত্র বা টুলস্‌ দ্বারা এ কাজ করা হয়। তাকে পরীক্ষা করার যন্ত্র বা টেস্টিং টুল বলা হয়। এ কাজে যেসব যন্ত্রপাকি হ্যাভ টুলস ব্যবহার করা হয় তার একটা তালিকা নিম্নে উল্লেখ করা হলো :

Content added || updated By

ফার্ম মেশিনারি শপে ব্যবহৃত টুলসসমূহের ব্যবহার

১) হাতুড়ি ( Hammer ) 
যে কোনো বস্তুর উপর আঘাত করার জন্য হাতুড়ি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ধাতু বা ধাতব কাজের জন্য হাতুড়ি একটি অতি প্রয়োজনীয় যন্ত্র। পিন বা তারকাটা গোঁতা বা তুলে ফেলা, ধাতব দণ্ড বা পাত বাঁকানো (Bending ) বা সোজা করা (Straightening), ইত্যাদি কাজে হাতুড়ি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। হাতুড়ির কাজের ধরনের ওপর ভিত্তি করে একে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- 
১) প্রকৌশলী হাতুড়ি (Engineer's Harnmer) 
২) নরম হাতুড়ি (Soft Hammer 
৩) রিভেটিং হাতুড়ি (Riveting Harmmer)
৪) শ্লে হাতুড়ি (Sledge Hammer)

২) প্লায়ার্স (Pliers) 
প্লায়ার্স বা সাঁড়াশি হচ্ছে ধাতব কাজে ব্যবহার্য একান্ত প্রয়োজনীয় একটি হাত যন্ত্র বা হ্যান্ড টুলস। যে কোনো ধাতব পাত বা তার বাঁকা করা বা সোজা করা জন্য, আঁকড়ে ধরার জন্য অথবা কাটার জন্য প্লায়ার্স হচ্ছে একটি নিত্য প্রয়োজনীয় হাত যয় বা হ্যান্ড টুলস্ । এ যন্ত্র সাধারণত শক্ত স্টিল দ্বারা তৈরি করা হয়। এর মুখ বা অগ্রভাগ কাজের ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের বা আকারের হয়ে থাকে। আকার ও কাজের প্রকার ভেদে প্লায়ার্স বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। নিম্নে চিত্রের মাধ্যমে প্লায়ার্স দেখানো হলো। যেমন :-

৪) রেঞ্চ বা স্প্যানার (Wrench/spanner) 
বিভিন্ন ধরনের মার্ট, বোল্ট, পাইপ বা রক্ত ফুরানোর জন্য ফ্রেঞ্চ বা স্প্যানার ব্যবহার করা হয়। এটা শক্ত ফোর্জিং পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়ে থাকে। রেঞ্চ বা স্প্যানারের সামনের দিকে দুটি চোয়াল থাকে যাকে ইংরেজিতে '' (Jaw) বলে। চোয়াল দুটির সাহায্যে রেঞ্চ দিয়ে নাট বোল্ট বা পাইপ খোয়ানো হয়ে থাকে। এর পেছনে লম্বা একটা হাতল থাকে । এটি লিভার কিয়ার (Lever Action) কাজ করে বলে এর হাতল যত লম্বা হবে এটি সুরাতে শক্তি তত কম লাগবে । বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন প্রকার রেঞ্চ বা স্প্যানার ব্যবহার করা হয়। যেমন - 
ক) নিয়ন্ত্রণযোগ্য রেঞ্চ বা স্প্যানার (Adjustable Spanner) 
খ) অনিয়ন্ত্রণযোগ্য রেঞ্চ বা স্প্যানার (Non-Adjustable Spanner)


৫) eft (Hand Vice) 
যে কোনো ছোট নরকে ভালোভাবে আটকিয়ে তার উপর কোনো হাতয যারা (যেমন- ফাইল দিয়ে) বা যে কোনো ধরনের কাজে ন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ সাধারণত ১০৫ মি.মি. থেকে ১২৫ মি.মি. পর্যন্ত হয়ে থাকে। নিচের চিত্রের মাধ্যমে একটা ভাল তাই - পরি

6) পিন ভাইস (Pin Vice) 
কোনো ছোট ফাইল, ক্ৰাইবার ইত্যাদির লেজ বা ট্যাং (Tang) অথবা খুব সরু গোল কোনো খাত জিনিসকে মজবুত করে ধরার জন্য পিন ডাইস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর অগ্রভাগে বৃত্তাকারে সাজানো তিনটি চারটি ছোট ছোট চোৱা '' (Jaw) এর রা সদৃশ্য ৰঙি ঘুরিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পিন ভাইদের '' এর ভিতরে কোনো য়ি এটি এক যাতে শক্ত করে ধরে অন্য যাতে মূল অংশ বাণে 'জ' এর সুধ সংকুচিত হয়ে জিনিসটিকে শক্ত করে চেপে ধরে। আবার বিপরীত দিকে মুরাল '' এর মুখ প্রসারিত হয়ে খুলে যায়। নিচের চিত্রে একটা দিন ভাইস-এর পরিচয় দেখানো হলো।

Content added By

ফার্ম মেশিনারি শপে বাবত টুলস সমূহের প্রয়োগ

3) বিশ্ব (Adjustable Frame) নিযোগ্য ফ্রেমযুক্ত - এর দৈর্ঘ্য কারী তা অনুসারে म বা বেশি ফে পারে। অর্থাৎ এর দৈর্ঘ্য র্ঘ্যের ব্রেড ব্যবহার করা যায়। ফ্রেমের সাথে ব্রে আটকানোর জন্য ফ্রেমের দুই পা দুটো দিন বা ক্লিপ আছে। এক প্রোভের পর সাথে নাট থাকে যা দিয়ে রোডকে 'টাইট বা করা যায়। চরণযোগ্য ক্রেনের সাথে ৮ ইঞ্চি থেকে ১৬ হচ্ছি দৈর্ঘ্য পর্যন্ত লম্বা প্লের টকানো যায়। 

(2) (Non-Adjustable/Solid Frame) রণযোগ্য ফ্ৰক হ্যাকস এর দৈর্ঘ্য কম বা বেশি করা যায় না। এর দৈর্ঘ্য একটা নির্দিষ্ট। মাণে ছিন্ন করা থাকে। তাই এতে শুধু মাত্র একটা নির্দিষ্ট মাপের ব্রাড আটকানো সম্ভব। তবে ধার সাথে একইভাবে স্ক্রিপের সংযুক্ত উইং মার্টের মাধ্যমে ব্ৰেডাক টাইট বা চিলা করা যায় ।


হ্যাকস দিয়ে মাছ কাটা প্রয়োগ: 
কাটার আগে ধাতব বস্তুর যেখানে কাটতে হবে সেখানে সাগ দিয়ে চিহ্নিত করে বা মার্কিং (Marking) করে নিতে হবে । ধাতব বস্তু পেট বরাবর উচ্চতায় টেবিল ভাইলে বাঁধতে হবে। কাটার দাগ বা মার্কিং পয়েন্ট ভাইলের কিনারা থেকে ১/৪ ইঞ্চি বাইরে রেখে বাঁধতে হবে। ব্রেডের টান বা টেনশন সঠিক মাত্রায় আছে কিনা আগেই পরীক্ষা করে নিতে হবে। পাশের চিত্রের ন্যায় ডান হাতে হ্যাকস এর হাত খু মজবুত করে ধরে এবং বাঁ হাতে ফ্রেমের সামনের বাঁকানো বাহু ধরে মার্কিং করা স্থানে স্থাপন করে সামনে পিছনে চালাতে হবে। করাত সামনের দিকে চালানোর সময় ব্লেডে চাপ প্রয়োগ করতে হবে এবং পিছন দিকে টানার সময় চাপ হালকা করতে হবে। এভাবে প্রতি মিনিটে ৩৫ থেকে ৪০ বার করে করাত চালাতে হবে। তবে যখন কাটা প্রায় শেষ হয়ে আসবে তখন এই গতি কমিয়ে জানতে হবে। এবং চাপও কিছুটা কম দিতে হবে। এ ভাবে ধাতু কাটার মাঝে মাঝে ব্রেডের টেনশন পরীক্ষা করে দেখে সঠিক টেনশন বজায় রাখতে হবে। 

নিচে চিত্রের সাহায্যে সরিং প্রণালীর সঠিক নিয়ম দেখানো হয়েছে।

হ্যাকস ব্রেড ভাঙার কারণ 
বিভিন্ন কারণে হ্যাকস ব্লেড ভেঙে যেতে পারে। হ্যাকস ব্রড ভাঙার কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো:

১। ফ্রেমের সাথে ব্লেড সঠিকভাবে বাঁধা না হলে হ্যাকস ব্লেড ভেঙে যেতে পারে। ব্লেডের টেনশন খুব বেশি হলে অথবা খুব কম হলেও ব্লেড ভেঙে যেতে পারে। 

২। কাটার সময় ফ্রেম দুই হাতে সঠিকভাবে না ধরে হ্যাক-স চালালে ব্লেড ভেঙে যেতে পারে। 

৩। কাটার স্থান ভাইসের কিনারা থেকে বেশি দূরে রেখে হ্যাক-স চালালে ব্লেড ভাঙ্গতে পারে । 

৪। হ্যাক স চালানোর কাটিং লাইন ঠিক রাখতে না পারলে, তানে বাঁয়ে বাঁকা করে চালালে ব্লেড ভেঙে যেতে পারে। 

৫। পাতলা, সরু বা তীক্ষ্ণ মেটালে বড় পিচের ব্লেড দিয়ে কাটতে গেলে ব্লেড ভাঙ্গতে পারে। 

৬। ব্রেডের দাঁতের সেট সঠিক মাপে বাইরের দিকে বাঁকানো না থাকলে মেটালের মধ্যে ব্রেড আটকে গিয়ে ব্লেড ভেঙে যেতে পারে। 

৭। পুরানো ক্ষয়প্রাপ্ত ব্লেড দিয়ে আংশিকভাবে কাটা স্থানে নতুন ব্লেড ঢুকিয়ে কাটতে গেলে ব্লেড ভেঙে যেতে  পারে।

সরিং এ সাবধানতা (Precautions in Sawing)
হ্যাক-স দিয়ে কাজ করার সময় যে সকল বিষয়ে যত্ন নেয়া উচিত এবং যে সব বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার তার একটা তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলো : 

১. যে ধাতব বস্তু কাটা হবে তা কোন ধাতু, কত শক্ত, কত পুরু কেমন ফিনিশ দরকার এ সব বিষয় বিবেচনা করে সঠিক ও উপযুক্ত ব্লেড ব্যবহার করতে হবে। 

২. শক্ত ও পুরু ধাতব বস্তুর জন্য পাতলা দাঁতের রেড এবং পাতলা ও সরু ধাতব পদার্থ কাটার জন্য ঘন দাঁত বিশিষ্ট ব্রেড ব্যবহার করতে হবে। 

৩. চিকন ও পাতলা পদার্থ কাটার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন ২-৩টি দাঁত সব সময় কাটিং মেটালের সংস্পর্শে থাকে। 

৪. ফ্রেমের সাথে ব্রেডের টান বা টেনশন যেন সঠিক পরিমাণে থাকে তা সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। টান খুব বেশি বা খুব কম হওয়া চলবে না । 

৫. কিছুক্ষণ হ্যাকস চালালেই অবিরাম ঘর্ষণের কারণে তা গরম হয়ে ওঠে এবং এর দৈর্ঘ্য বেড়ে যায়। তাই মেটাল কাটার সময় কিছুক্ষণ পর পর ব্লেডের টান বা টেনশন পরীক্ষা করে দেখতে হবে। টেনশন কম হলে উয়িং নাট ঘুরিয়ে টেনশন ঠিক করে দিতে হবে। 

৬. ধাতব বস্তু কাটার সময় ব্লেড যাতে বেশি গরম হতে না পারে তার জন্য কাটার স্থানে পানি বা কাটিং ফ্লুইড ব্যবহার করতে হবে । 

৭. মেটাল পিস ভাইসে বাঁধার সময় শক্ত করে বাঁধতে হবে যাতে কাটার সময় তা নড়াচড়া না করতে পারে । 

৮. মেটাল পিস কাটার স্থান ভাইসের কিনারা থেকে ১/৪ ইঞ্চির বেশি বাইরে রেখে বাঁধা যাবে না। এতে ধাতব খণ্ড নড়াচড়া করতে পারে এবং এর ফলে ব্লেড ভেঙে যেতে পারে। 

৯. ধাতব বস্তু কাটার শেষ পর্যায়ে এসে করাত চালানোর গতি কমিয়ে দিতে হবে।

ফাইল (File) 
ফাইল হচ্ছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দাঁত বিশিষ্ট হস্ত চালিত কাটার যন্ত্র যা লোহা, ইস্পাত, তামা, অ্যালুমিনিয়াম, ইত্যাদি ধাতব পদার্থের উপরিভাগের পাতলা স্তর চেঁছে ফেলে পদার্থকে মসৃণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ফাইলকে সাধারণ বাংলায় রেভি বা হ্যান্ড বলা হয়। পিউ মেটাল কাজে এটা একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টুলস বা যন্ত্র। সাধারণত হাইকার্বন স্টিল দিয়ে ফাইল তৈরি করা হয়। শক্ত করার জন্য এতে টেম্পার প্রদান করা হয়ে থাকে। ফাইলের পারে কোণাকুণি ও সমান্তরাল ভাবে এবং আড়াআড়ি করে খাঁজ কাটা থাকে। এর ফলে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ে ন্যায় ধাতব পদার্থের গা চেঁছে তাকে মসৃণ করে তোলে। ফাইলের বিভিন্ন অংশ (Parts of File)

ফাইল প্রধানত পাঁচটি ধাতব অংশ এবং একটি হাতলসহ মোট ছয়টি অংশ নিয়ে গঠিত। ফাইলের হাতল সাধারণত কাঠের, প্লাস্টিকের অথবা ফাইবার গ্লাসের হয়ে থাকে। নিচে ফাইলের বিভিন্ন অংশের নাম উল্লেখ করা হলো এবং চিত্রের মাধ্যমে কাইলের বিভিন্ন অংশ দেখানো হতো।

১) হ্যান্ডেল(Handle) 
২) লেজ বা ট্যাং (Tang) 
৩) ঘাড় বা হিল (Heel) 
৪) তল বা ফেস (Face) 
৫) কিনারা বা এক্স (Edge) 
৬) পয়েন্ট/টিশ

ফাইলের শ্রেণি বিভাগ (Classification of File) 

ফাইলের আকৃতি প্রতি সে.মি. এ দাঁতের সংখ্যা অর্থাৎ ফাইলের স্তর (Grade) এবং কাট (Cut) এর উপর ভিত্তি করে ফাইলকে নিম্নোক্তভাবে ভাগ করা যায়। ফাইলের আকৃতির উপর ভিত্তি করে 

নিম্নোক্তভাবে শ্রেণি বিন্যাস করা যায় ।

ফাইলিং কৌশল বা প্রয়োগ (Filing Technique) 
যে কোনো ধাতব বস্তুর গা বা পৃষ্ঠদেশ (Surface) সমতল ও মসৃণ করা অথবা কোনো খাল বা কোণাকে সুষম করা ইত্যাদি কাজে ফাইলিং করার প্রয়োজন হয়। এ কাজের জন্য বিভিন্ন গ্রেডের ফাইলের প্রয়োজন হয়। এই প্রেড নির্বাচন করতে হবে কি ধরনের ধাতু ও কি ধরনের কাজ করতে হবে তার ওপর ভিত্তি করে। সাধারণভাবে যে কোনো ধাতব বস্তুর (Surface) মসৃণ করতে হলে এবং কাজটি হালকা প্রকৃতির হলে ফাইল ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। তা না হলে মেশিন ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণভাবে ফাইলিং করার কাজে তিন ধরনের কৌশল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন ক্রস ফাইলিং, স্ট্রেইট ফাইলিং ও - ফাইলিং ।

ক) ক্রস কাইনিং (Cross Filing) 
যে কোনো ধাতব বস্ত্রার পৃষ্ঠদেশ তাড়াতাড়ি সমতল বা মসৃণ করতে হলে এ পদ্ধতির ফাইলিং অনুসরণ করতে হয়। এ কাজে প্রথমে ডাবল কাট গ্রেডের ফাইল নির্বাচন করতে হবে। তারপর ধাতব বস্তু বা মেটাল পিস (Metal Piece) পেট বরাবর উচ্চতার টেবিল ভাইসে (Table Vice) ভালোভাবে বেঁধে নিতে হবে। ডান হাতে ফাইলের হাতল শক্ত করে ধরে ফাইলটি মেটাল পিসের উপর স্থাপন করে বাঁ হাতের আগুল দিয়ে ফাইলের অগ্রভাগে চাল রেখে ফাইলটিকে সামনে-পিছনে চালাতে হবে। সামনের দিকে চালানোর সময় ফাইলের উপর উভয় হাতের চাপ প্রয়োগ করে হবে ।

খ) বৌইট ফাইলিং (Straight Filing) 
এ পদ্ধতিতে ওয়ার্ক পিসের (Work Piece) উপর ফাইলকে লম্বভাবে রেখে ফাইলটিকে সামনের দিকে চালাতে হয়। পিছন দিকে টানার সময় ফাইল ওয়ার্ক পিসের উপর থেকে শুন্যে তুলে আনা হয়। এ ভাবে শুধুমাত্র সামনের দিকে ফাইল চাপিয়ে জব (Job) বা ওয়ার্ক পিস (Work Piece) ঘষে মসৃণ করা হয় । সাধারণত চিকন ও সরু মেটাল বা ধাতব বস্তু এভাবে ফাইলিং করা হয়।

গ) পিং (Draw Filing) 
এ পদ্ধতিতে কাইলের দুই নাথা দুই হাত দিয়ে ধরে ওয়ার্ক পিলের (Work Piece) উপর ফাইলকে আড়াআড়িভাবে রেখে ফাইলটিকে সামনে-পিছনে দিকে চালাতে হয় । অনেকটা গৃহিনীদের পাটায় শিল দিয়ে মরিচ বাটার মতো। এ ভাবে ফাইলিং করে ওয়ার্ক পিস (Work Piece) পথে সহজেই মসৃণ করা হয়। যে কোনো মেটাল বা ধাতব বস্তুর তলদেশ নিখুঁতভাবে সমৃণ ও সমতল করার কাজে এভাবে ফাইলিং করা হয়। সাধারণত ফাইলিং এর শেষে বা ফিনিশিং পর্যায়ে এ পদ্ধতিতে ফাইলিং করা হয়। এ পদ্ধতিতে ফাইলিং করার জন্য নিজেল কাট ফ্ল্যাট ফাইল ব্যবহার করা হয়।

ড্রিল মেশিন (Drill Machine) 
কোনো কিছুকে ছিদ্র করাকে ছিলিং বলা হয়। যে যন্ত্র বা মেশিনের সাহায্যে কোনো কিছুকে ছিন্ন করা হয় তাকে ড্রিল মেশিন বলে। ধাতব বস্তুকে ছিদ্র করার জন্য বিভিন্ন রকমের ড্রিল মেশিন ব্যবহার করা হয় । সাধারণ কাজে ও পিট মেটাল শপে ব্যবহৃত কয়েক প্রকার ড্রিল মেশিনের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো :

ড্রিল বিট (Drill Bit)
ড্রিল বিট এক প্রকার কাটিং টুলস। যে টুলসের সাহায্যে কোনো ধাতব বস্তুকে কেটে ভিন্ন করা হয় থাকে ড্রিল বিট বলে। ফার্ম মেশিনারি বা মেশিন শপে বাস্তব বল্ল ছিন্ন করার কাজে ড্রিল মেশিনে বিভিন্ন প্রকার ড্রিল বিট ব্যবহার করা হয়। একটা ছিল বিটের প্রধানত দুটি অংশ থাকে। যেমন - 
১) ৰভি (Body): এটি হচ্ছে ধাতু কাটার জন্য ব্যবহৃত মূল অংশ । 
২) শ্যাকে (Shank): ড্রিলকে মেশিনের সাথে আটকানোর জন্য ব্যবহৃত পিছনের অংশ।

টুইস্ট ড্রিল বিটের বিভিন্ন অংশ (Parts of Twist Drill)

যেটাল শপে ড্রিলিং কাজে টুইট ড্রিল বিট ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ ধরনের ছিল বিটের গায়ে পেঁচানো দুটি খাঁজ বা এন্ড (Groove) থাকে, যাকে সাধারণত ফ্যুট (Flute) বলা হয়। এ ফ্যুটের কাজ হচ্ছে গ্রিলের কাটিং এ সহায়তা করা ও কাটিং টিপস্ বের করে দেওয়া। টুইস্ট ছিল বিটের বিভিন্ন জল থাকে। এ প্র অংশগুলোর নাম নিচে উল্লেখ করা হলো।

১) ডি (Body) 
২) নেক (Neck) 
৩) ফুটি (Flute) 
8) মার্জিন (Margin) 
৫) শুরু (Web)
৬) প্যাক (Shank) 
৭) টা (Tang)  
৮) পয়েন্ট (Point) 
৯) ক্লিয়ারেন্স (Clearence)  
১০) ডেড সেন্টার (Dead Center)

ড্রিল বিটের অ্যাঙ্গেল (Angle of Drill Bit)
একটা ছিল বিটের বিভিন্ন অংশ থাকে। এ সব অংশ একটা সুনির্দিষ্ট নিয়মে তৈরি করা হয়ে থাকে। এদের একটা অন্যটার সাথে যে কৌণিক অবস্থানে থাকে সে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটা টুইস্ট ড্রিলের বিভিন্ন ধরনের কোণ বা অ্যাঙ্গেলের বিবরণ নিচে উল্লেখ করা হলো।

ক) কাটিং অ্যাঙ্গেল (Cutting Angle) 
টুইস্ট ড্রিলের পয়েন্ট বা মাথায় দুটি কাটিং এজ (Cutting Edge) থাকে যা দ্বারা ধাতু ছিদ্র করার সময় খাত বহু কেটে নিম্ন করে থাকে। কাটিং এই দুটি ছিল অক্ষের সাথে যে দুটি কোণ উৎপন্ন করে তাকে কাটিং অ্যাঙ্গেল বলে। অর্থাৎ পয়েন্ট অ্যাঙ্গেলের অর্ধেক হচ্ছে কাটিং অ্যাঙ্গেল।

সাধারণ কাজের জন্য কাটিং অ্যাজেল সাধারণত ৫১%, আর পয়েন্ট বা ছিল অ্যাপেল ১১৮° হয়ে থাকে। কাটিং অ্যাজেলকে লিপ অ্যাপেল ও (Leap Angle) বলা হয়। নরম ধাতু বিদ্র করার কাজে ৪৫° কাটিং অ্যাঙ্গেল ব্যবহার হয়ে থকে। কাটিং অ্যাপেল উভয় দিকে সমান মাপের হওয়া প্রয়োজন। তা না হলে ছিদ্রের ব্যাস প্রয়োজনের তুলনায় বড় হয়ে যেতে পারে এবং ছিদ্র লাইনের বাইরে চলে যেতে পারে।

খ) পয়েন্ট অ্যাঙ্গেল (Point Angle ) 
টুইস্ট ড্রিলের পয়েন্ট বা মাথায় কাটিং এজ দুটির মাঝে যে কোণ উৎপন্ন হয় তাকে পরেন্ট অ্যাঙ্গেল বলে। পয়েন্ট অ্যাপেল সব সময় কাটিং অ্যাসেল-এর বিষণ্ন হয়ে থাকে। কারণ, দুটি কাটিং অ্যাহেলের যোগফলই হচ্ছে পয়েন্ট অ্যাসেল। একে অনেক সময় ড্রিল অ্যানেল ও (Drill Angle) বলা হয়। পরেন্ট অ্যাসেল বা ছিল অ্যাসেন সাধারণত ১১৮° হয়ে থাকে। তবে অধিক শক্ত ধাতু ছিন্ন করার কাজে ১১৮° থেকে ১৫০° পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

গ) লিপ ক্লিনারে অ্যাঙ্গেল(Leap Clearence Angle) : 
কাটিং এডেন অপর নাম লিপ। এই লিপ বা কাটিং এডের সারফেসের পিছন দিকে অমনভাবে চাল দেওয়া থাকে দেন ড্রিল করার সময় শুধু লিপের বা কাটিং এজের সামনের প্রান্ডই ওয়ার্ক পিচের ছিদ্রের পায়ের সংস্পর্শে থাকে। পিছনের সারবেন মনের ছিদ্রের পারে মা লেগে থাকে বা যাতে ক্লিয়ারেন্স পার। লিপ বা কাটিং এজ যে কৌণিক অবস্থানে এই ক্লিয়ারেন্স সৃষ্টি করে তাকে লিপ ক্লিয়ারেন্স বলে।

ঘ) হেলিক্স বা র্যাক অ্যাঙ্গেল (Helix / Rake Angle ) : 
টুইস্ট ড্রিলের ফ্যুট প্যাচানো বা স্পাইরাল করে কাটা থাকে। একে হেলিক্স বা ব্ল্যাক বলে। ড্রিলের হেলিক্স বা অক্ষের সাথে ফ্যুট বা হেলিক্স যে কৌণিক অবস্থানে কাটা থাকে তাকে হেলিক্স অ্যাঙ্গেল বা র‍্যাক অ্যাঙ্গেল বা স্পাইরাল অ্যাঙ্গেল বলা হয়। হেলিক্স কোণ যত বড় হবে, কাটা তত ভালো হবে। কিন্তু খুব বড় কোণ হলে কাটিং এজ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কাস্ট আয়রন ও স্টিল জাতীয় ধাতু ছিদ্র করার ক্ষেত্রে ১১৮° পয়েন্ট অ্যাঙ্গেল যুক্ত ড্রিল বিটে ৩০ হেলিক্স অ্যাঙ্গেল থাকা প্রয়োজন।

কাটিং স্পিড ও ফিড (Cutting Speed & Feed)

কাটিং স্পিড (Cutting Speed) : 
কোনো ধাতব বস্তু ছিদ্র করার সময় ড্রিল বিটের পয়েন্ট তার বাইরের বৃত্তের পরিধির দিকে ধাতব পদার্থের যতটুকু দূরত্ব এক মিনিটে অতিক্রম করে তাকে সেই ড্রিল অপারেশনের কাটিং স্পিড বা কাটার গতি বলে। একে অন্য কথায় সারফেস স্পিড (Surface Speed) বা পেরিফেরাল স্পিড ও (Peripheral Speed ) বলা হয়ে থাকে। অন্যভাবে বলা যায়, ড্রিল বিটের পরিধির নির্দিষ্ট কোনো বিন্দু একক সময়ে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকেই বা সারফেস স্পিড বলা হয়ে থাকে। এই স্পিডের দূরত্বের একক ধরা হয় ফুট অথবা মিটারে। আর সময়ের একক ধরা হয় মিনিটে। এখানে মনে রাখতে হবে, কাটিং স্পিড বললেই বুঝতে হবে প্রতি মিনিটে সারফেস ফুট অথবা সারফেস মিটার বলা হচ্ছে। প্রতি মিনিটে কতবার ঘুরলো তা নয়। কারণ, এটা ঘূর্ণনের গতি বা স্পিড নয়। কাটিং স্পিডের একক হচ্ছে সারফেস ফুট/ মিনিট বা সারফেস মিটার / মিনিট । হাই স্পিড স্টিলের (HSS) তৈরি ছিল বিটের জন্য বিভিন্ন ধাতব বস্তুর কাটিং স্পিডের একটা তালিকা নিচের ছকে উল্লেখ করা হলো:

ফিড (Feed): 
কোনো ধাতব বস্তু ছিদ্র করার সময় ড্রিল বিট এক পাক ঘুরে ধাতব পদার্থে ছিদ্র করতে করতে সামনের দিকে যতটুকু অগ্রসর হয় তাকে ফিড বলা হয়। অর্থাৎ, এক পাক বা এক রোটেশন (Rotation) ঘুরে যতটুকু ছিদ্র করা হয় তাকেই ফিড বলে। ফিড সাধারণত ইঞ্চির ভগ্নাংশে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। 

বিভিন্ন সাইজের ড্রিল বিটের জন্য অনুমোদিত ফিডের একটা তালিকা নিচের ছকে উল্লেখ করা হলো ।

ড্রিলিং প্রণালী বা কৌশল: 

১) ড্রিল মেশিনের চাকের চাবি ঘুরিয়ে ড্রিল জ ফাঁক করতে হবে। জ-এর মাঝের ফাঁকের ভিতরে নির্বাচিত ড্রিল বিটের শ্যাংক ঢুকাও । চাকের চাবি ডান দিকে ঘুরিয়ে ছিল বিটকে চাকের মাঝে শক্ত করে আটকাও । 

২) ড্রিল বিটের ফিড হ্যান্ডেলের সাহায্যে স্পিন্ডলকে নিচের দিকে নামাতে হবে। 

৩) ওয়ার্ক পিসের চিহ্ন করা স্থানের উপরে ড্রিল বিটকে বসাতে হবে। 

৪) ড্রিল মেশিন চালু কর এবং ফিড লিভারের সাহায্যে আস্তে আস্তে নিচের দিকে চাপ দিয়ে ওয়ার্ক পিস ড্রিল করতে হবে।

ড্রিল বিট ভাঙার কারণ (Cause of Breaking the Drill Bit) 
বিভিন্ন কারণে ড্রিল বিট ভাংতে পারে। ড্রিল বিট ভাষার কিছু কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো। 

১) ওয়ার্ক পিসকে সঠিকভাবে ভাইসে না বাঁধা হলে। 

২) ভাইস হতে হঠাৎ করে ওয়ার্ক পিস সরে গেলে। 

৩) ড্রিল বিটের ক্লিয়ারেন্স অ্যাঙ্গেল বেশি থাকলে । 

৪) হঠাৎ করে বেশি ফিড দেওয়া হলে। 

৫) ড্রিলিং-এর সময় কুল্যান্ট বা কাটিং ফ্লুইড ব্যবহার না করায় ড্রিল বিট আটকে গেলে । 

৬) ড্রিলিং-এর সময় মাঝে মাঝে মেটাল চিপস্‌ ভেঙে না দিলে অথবা ফ্যুট জ্যাম হয়ে গেলে । 

চিপিং (Chipping) 
কোনো ধাতব তলের (Surface) উপরিভাগ হতে ছেনি বা চিজেলের অতিরিক্ত ধাতু কেটে বা ছেঁটে ফেলে ধাতুকে সমান বা মসৃণ করার পদ্ধতিকে চিপিং বলা হয় । 

কোল্ড চিজেন (Cold Chisel) 
চিজেল হচ্ছে ধাতব পদার্থকে কেটে হেঁটে সমান ও মসৃণ করার হস্তচালিত যন্ত্র । একে সাধারণ প্রচলিত ভাষায় ছেনি বলা হয়ে থাকে। চিচ্ছেল বা জেনির মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে চিপিং করা হয়। যে চিহ্নে বা ছেনির সাহায্যে ধাতব পদার্থকে ঠাণ্ডা (Cold) অবস্থায় কাটা বা ছাঁটার কাজ করা হয় তাকে কোল্ড চিলে বলে ।

ফুট চিভোগ (Hot Chisel) : 
যে হট চিঙেল বা জেনির সাহায্যে ধাতব পদার্থকে তাপ নিয়ে উত্তপ্ত (Hot) অবস্থার কাটা বা ছাঁটার কাজ করা হ ডাকে ফুট চিলে বলে । কোল্ড ডিজেলের প্রকারভেদ ও ব্যবহার 

ক) কোল্ড ডিজেলের প্রকারভেদ : 
কোল্ড চিজেল বা ছেনি প্রধানত চার প্রকারের হয়ে থাকে। যেমন- 

১) ফ্ল্যাট চিজেল (Flat Chisel) 
২) কেপ চিজেল (Cape Chisel) 
৩) রাউড নোজ চিলে (Round Nose Chisel) 
৪) ডায়মন্ড পয়েন্ট চিজেল (Diamond Poit Chisel 

নিম্নে চিত্রে বিভিন্ন প্রকার কোড চিলে দেখানো হলো।

কোন চিজেলের বিভিন্ন অংশ
একটা কোল্ড চিজেলের গঠন খুবই সাধারণ প্রকৃতির হয়ে থাকে। কোল্ড চিজেলের সাধারণত চারটি অংশ থাকে। যেমন- - 

* বড়ি (Body) বা শ্যাংক (Shank) 

* ফেস (Face ) 

* পয়েন্ট (Polnt) বা কাটিং 

* (Cutting Edge) 

* হেড (Head) বা মাথা

নিম্নের চিত্রে কোল্ড চিজেলের বিভিন্ন অংশ দেখানো হলো।

চিপিং প্রণালি বা কৌশল:- 
চিজেলের দ্বারা ধাতব বস্তু চিপিং করার কাজ কীভাবে সম্পন্ন করতে হয় তার পদ্ধতি নিম্নে উল্লেখ করা হলো। 

১) ওয়ার্কপিস থেকে সুবিধাজনক দূরত্বে দুই পা একটু ফাঁক করে আরামদায়ক কিন্তু মজবুতভাবে দাঁড়িয়ে চিপিং-এর কাজ শুরু করতে হবে। 

২) ওয়ার্কপিসের ধাতুর উপযোগী কাটিং অ্যাঙ্গেল বিশিষ্ট চিজেল নির্বাচন করতে হবে। 

৩) বাম হাতে চিজেলের মাথার কাছাকাছি চিত্রের ন্যায় মজবুত করে ধরতে হবে । 

৪) চিজেলকে ওয়ার্কশিসের উপর সঠিক কোণে বসিয়ে ডান হাতে হাতুড়ি দিয়ে চিজেনের মাধায় আঘাত করে করে চিপিং-এর কাজ করতে হবে।

৫) হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করার সময় দৃষ্টি রাখতে হবে ওয়ার্কপিসের যেখানে ধাতু কাটা হচ্ছে সেখানে চিলেজ সঠিকভাবে প্রতিস্থাপিত হয়। 

৬) প্রতিবার আঘাত করার পর চিজেলকে পুনরায় সঠিক বিন্দুতে বসিয়ে আবার হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে চিপিং-এর কাজ করতে হবে। 

৭) আঘাত করার সময় ডান হাতে হাতুড়ির হাতলের শেষ প্রান্ত ধরে আঘাত করতে হবে । 

৮) এভাবে চিপিং-এর কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

ফ্ল্যাপিং (Scraping) 
কোনো সমতল বা মসৃণকৃত ধাতৰ তল (Surface) থেকে ছোট ছোট ধাতব খণ্ড বা কণা চেঁছে ফেলাকে ফ্ল্যাপিং (Scraping) বলা হয় । 

ক্ষ্যাপার (Scraper ) 
হস্তচালিত ধারালো প্রান্তযুক্ত যে যন্ত্রের সাহায্যে ধাতব বস্তুর সমতল (Plane) বা মসৃণ তল (Smooth Surface) থেকে ছোট ছোট ধাতব কণা বা মরিচা ইত্যাদি চেঁছে ফেলা হয় তাকে ক্ষ্যাপার (Scraper) বলে। ক্র্যাপার সাধারণত হাই গ্রেডর টুল স্টিল দিয়ে তৈরি করা হয়। পুরানো বাতিল ফাইল দিয়ে ভালো ক্র্যাপার তৈরি হয়। তৈরির পর ক্র্যাপারকে হার্ড ও টেম্পার করা হয়।

জ্যাপারের প্রকারভেদ ও ব্যবহার
 ক্ষ্যাপার প্রধানত তিন প্রকার হয়ে থাকে। যেমন- 
১) চ্যাপ্টা বা ফ্ল্যাট স্ক্যাপার (Flat Saraper )
 ২) বাকানো বা অর্ধ-গোলাকার ক্যান্সার (Curved/Half-Rounded Scraper) 
৩) ত্রি-কোণাকার বা থ্রি-কোয়ার জ্যাপার (Three Square Scraper 

বিভিন্ন ধরনের ক্যাম্পারের গঠনাকৃতি ও তানের ব্যবহার সম্পর্কে নিম্নে উল্লেখ করা হলো এবং চিত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার ক্ষ্যাপার দেখানো হলো

১) চ্যাপ্টা বা ফ্ল্যাট ক্র্যাপার (Flat Scraper) 
চ্যাপ্টা বা ফ্ল্যাট জ্যাপারের গঠন আসলেই ফ্ল্যাট যা চ্যাপ্টা বলেই একে চ্যাপ্টা বা ফ্ল্যাট ফ্যাপার বলা হয়। এ স্ক্র্যাপার কোনো সমতল খাত পদার্থের ফল থেকে উঁচু ধাত টুকরা, কণা বা মরিচা ইত্যাদি চেঁছে ফেলে তাকে সমতল ও মসৃণ করার কাজে ব্যবহৃত হয়। এই জ্যাপার আবার দুই রকমের হয়ে তাকে। যেমন- (ক) পুশ টাইপ (Push Type) ও (খ) গুল টাইগ (Pull Type)। চিত্র : চ্যাপ্টা জ্যাপার 

২) বাঁকানো বা অর্থ-গোলাকার ফ্ল্যাপার (Curved / Inif-Rounded Scraper) 
যে স্ক্রাপার এক দিকে বাঁকানো অর্ধ-গোলাকারভাবে তৈরি, তাকে বাঁকানো বা অর্ধ-গোলাকার জ্যাপার বলা না। এই ক্যাপারের উভয় পাশের দিক (Side Edge) ধারালো এবং মাঝের সারফে (Surface) খোলের আকারে বাঁকানো থাকে। এর যারা সিলিন্ডার বা বিয়ারিং-এর ভিতরের সারফেস পরিষ্কার করা হয়ে থাকে। অর্থ-গোলাকার ফ্ল্যাপার 

৩) ত্রিকোণাকার বা থ্রি-কোয়ার জ্যাপার (Three Square Scraper)
 এই ভ্যাপার লম্বার দিকে তিন কোণা করে তৈরি এবং প্রতিটি কোনের প্রাপ্ত ধারালো। এর দ্বারা কোনো ছিদ্রের ভিতরের গা সরু বাকানো তল বা বুশের ভিতরের গ্রিপ পরিষ্কার এবং মসৃণ করা হয়। এই ক্যাপার তিন কোপার ফাইল প্রাইভিং-এর মাধ্যমে মসৃণ করে তৈরি করা হয়।

ফ্যাপিং প্রশানি বা কৌশল:- (Scraping Method) 
ক্ষ্যাপার দিয়ে খুব কম পরিমান ধাতু ক্ষয় করা যার বলে অধিক ক্ষরের কাজ প্রথমে ফাইল বা মেশিনের সাহায্যে করে পরে সেই স্থানে স্ক্র্যাপার ব্যবহার করা হয়। জ্যাপার দিয়ে জ্যাপিং-এ ভালো ফল পেতে হলে সঠিক নিয়মে ক্ষ্যাপ করা প্রয়োজন। নিচে জ্যাপিং করার কিছু সঠিক নিয়ম উল্লেখ করা হলো।

১) প্রথমে ওয়ার্কশিসকে টেবিল ভাইসে ভালো করে বেঁধে নিতে হবে । 

২) সমতল বা ফ্ল্যাট সারফেস ফ্ল্যাপিং-এর ক্ষেত্রে মার্কিং বোল্ট বা ইঞ্জিনিয়ার্স বোল্ট পেস্ট হালকাভাবে লাগিয়ে নিতে হবে । সারফেসের অসমতল স্থানসমূহ বোল্ট লেগে চিহ্নিত হবে এবং তা ক্র্যাপারের সাহায্যে তুলে ফেলতে সুবিধা হবে। 

৩) ফাইল ধরার একই নিয়মে ক্র্যাপার ধরতে হবে। মোটা ফ্ল্যাপিং-এর ক্ষেত্রে বৃদ্ধাঙ্গুল হাতলের উপরে রেখে এবং হালকা কাজের ক্ষেত্রে তর্জনী হাতলের উপরে রেখে ফ্ল্যাপিং করতে হবে। 

৪) ওয়ার্কপিসের গায়ে স্ক্র্যাপারের ধারালো প্রাপ্ত না দাবিয়ে শুধু উপরের আবরণ কাটতে হলে ফ্ল্যাপার একটু কোণাকুণি করে ধরে হাতকে সামনে পিছনে চালাতে হবে । 

৫) ফ্ল্যাপিং করার পর অনুরূপ কোনো নমুনা বা যন্ত্রাংশের সাথে তুলনা করে ফিনিশিং পরীক্ষা করতে হবে। ফ্ল্যাট সারফেস পরীক্ষা করার জন্য সারফেস প্লেট ব্যবহার করতে হয়। গোলাকার সারফেসের সমগোত্রীয় অন্য কোনো গোলাকার যন্ত্রাংশের সাথে মিলিয়ে পরীক্ষা করতে হবে। 

৬) পরীক্ষা করার পর আবার ওয়ার্কপিসের সারফেসে মার্কিং বোল্ট মাখিয়ে অসমান স্থান ক্র্যাপিং করতে হবে । মার্কিং বোল্ট না পাওয়া গেলে আর্দ্র চক ব্যবহার করা যায় । উপরোক্ত প্রক্রিয়া বার বার চালিয়ে যেতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত সঠিক মানের মসৃণতা না পাওয়া যাবে। 

সর্বোপরি ক্র্যাপিং কাজ করার সময় সঠিক নিয়ম মেনে স্ক্র্যাপিং-এর কাজ করতে হবে।

গ্রাইডিং (Grinding): 

বিভিন্ন ধরনের সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতির নির্দিষ্ট আকার দেওয়ার কাজে এবং এ কাজের ফিনিশিং-এর জন্য প্রাইন্ডিং মেশিন বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। হস্তচালিত যন্ত্রপাতি, যন্ত্রের ফলা বা বিট, মেশিন টুলের কাটার ইত্যাদি শাণ দেওয়া বা ধার দেওয়ার জন্য, কিংবা ঢালাই করা, ওয়েল্ডিং করা, মেশিনিং করা যন্ত্রাংশ বা ধাতব পদার্থ ইত্যাদি মসৃণ করার কাজে গ্রাইভিং মেশিন ব্যবহার করা হয়। ওয়ার্কশপে ব্যবহৃত গ্রাইন্ডিং মেশিন প্রধানত দুই প্রকার। যথা - 

• বেঞ্চ গ্রাইভার (Bench Grinder) 
• পেডাস্ট্যাল গ্রাইন্ডার (Pedestal Grinder)

গ্রাইন্ডিং মেশিনের বিভিন্ন অংশ 

বেঞ্চ প্রাইভারের বিভিন্ন অংশের নাম নিচে দেখা হলো 
এবং পাশের চিত্রে দেখানো হলো 
১) বৈদ্যুতিক মোটর 
২) পাওয়ার সুইচ 
৩) যাইন্ডিং হুইল 
৪) হুইল কভার 
৫) ওয়ার্ক রেস্ট/সাপোর্ট

প্রাইভিং প্রণালি বা কৌশল:- 
কোনো ধাতব বস্তু বা বগ্নাংশকে প্রাইভিং মেশিনের সাহায্যে নির্দিষ্টভাবে কেটে সাইজ করা অথবা মসৃণ করার জন্য প্রাইভিং করার সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি জানা থাকা প্রয়োজন। ভালো ফল পেতে হলে উক্ত নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ করে গ্রাইন্ডিং করতে হবে। নিচে বেঞ্চ ড্রাইভারের সাহায্যে প্রাইন্ডিং করার সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি বর্ণনা করা হলো।

১) গ্রাইভিং মেশিন চালু করে জব বা ওয়ার্কপিসকে দুই হাতে ধরে প্রাইভিং হুইল থেকে খু সামান্য দূরে (১ ইঞ্চি) ওয়ার্করেস্টের উপর স্থাপন করতে হবে। 

২) এরপর খুব ধীরে ধীরে দুই হাত সামনে বাড়িয়ে ওয়ার্কপিসকে প্রাইভিং হুইলের সামনের দিক (ফেল্স) এর সংস্পর্শে এনে চাপ দিয়ে ধরতে হবে। 

৩) ওয়ার্কপিসকে গ্রাইন্ডিং হুইলের সম্পূর্ণ গ্রন্থ বরাবর ধরে অথবা ডানে-বায়ে সরিয়ে গ্রাইন্ডিং করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, গ্রাইন্ডিং করার সময় ওয়ার্কপিস যেন না কাঁপে এবং হুইলের ফেস যেন সমতল থাকে।

মেশিন গ্রাইন্ডিং-এ সাবধানতা : 
প্রাইভিং মেশিন দিয়ে কাজ করার সময় কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে অবহেলা করলে বা কাজের সময় অসাবধান হলে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই প্রাইভিং মেশিনে কাজ করার সময় যে সব সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন তার একটি তালিকা নিম্নে উল্লেখ করা হলো 

১) কাজের আগে ও পরে মেশিন পরীক্ষা করে দেখতে হবে তা ভালো ও কার্যক্ষম আছে কিনা । 

২) গ্রাইন্ডিং-এর সময় অবশ্যই দুই হাতে দস্তানা বা গ্লোভস্ পরে কাজ করতে হবে। 

৩) চোখের নিরাপত্তার জন্য অবশ্যই সেফটি গগলস পরে গ্রাইন্ডিং-এর কাজ করতে হবে। 

৪) কোনো চিলে-ঢালা পোশাক পরিধান করে গ্রাইন্ডিং-এর কাজ করা যাবে না, তাতে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ জন্য অ্যাপ্রোন পরে এইিন্ডিং-এর কাজ করতে হবে। 

৫) খোলা হুইলে গ্রাইন্ডিং-এর কাজ করা উচিত নয়। সব সময় হইল পার্ড দিয়ে ঢাকা অবস্থায় প্রাইন্ডিং-এর কাজ করতে হবে। 

৬) প্রাইন্ডিং করার সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রাইন্ডিং করতে হবে ।

স্ক্রু থ্রেড (Screw Thread): 
কোনো গোলাকার লখা ধাতব খণ্ড বা রঙের এক মাথার চারদিকে বৃত্তাকারে অগ্রসরমান নির্দিষ্ট মাপের পেঁচানো খাঁজকাটা থাকলে তাকে স্কু-ডে (Srew Thread) বলা হয়। সাধারণত বোল্টের এক মাথায় এবং নাটের ভিতরের দিকের পায়ে গ্রেড বা প্যাচ ফাটা থাকে। বোল্ট ও নাট-কে একসাথে সংযুক্ত করে আটকে রাখার কাজে গ্রেড ব্যবহৃত হয়।

থ্রেডের বিভিন্ন অংশ(Parts of Thread): 
একটা হু-গ্রেড বিভিন্ন অংশ নিয়ে গঠিত । - 
• পিচ (Ptch) 
• অ্যাঙ্গেল (Angle) 
• জেট (Creat) 
• রুট (Root) 
• গভীরতা (Depth) 
• থ্রেডের সংখ্যা (Number of Tread)

৮.২ ফার্ম মেশিনারি শপে ব্যবস্থিত ইসল এর রক্ষনাবেক্ষণ:- 
ফার্ম মেশিনারি শপে ব্যবহৃত টুলস -এর রক্ষণাবেক্ষনের একটি তালিকা নিম্নরূপ

১) কাজের শেষে প্রতিটি টুলস ভালো করে পরীক্ষা করতে হবে এর কোনোটির পরেন্ট বা টিল বাঁকা হয়েছে কিনা বা পেঁপে কিনা । 

২) কাজের শেষে ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। 

৩) সংরক্ষণের লাগে মরিচার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিটি টুলস-এর পায়ে লুব্রিকেটিং অয়েল বা গ্রিন লাগাতে হবে। 

৪) কাজের শেষে প্রতিটি টুলুন নির্দিষ্ট টুলবক্সে পৃথক পৃথক খোপে আর্দ্রতা যুক্ত ও শুকনো স্থানে র করতে হবে।

Content added || updated By

অনুশীলনী-৩

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১. টুলস কী ? 
২. হ্যান্ড টুলস কী ? 
৩. মেজারিং টুলস বা পরিমাপক যন্ত্র কী ? 
৪. মার্কিং টুলস বা আকার চিহ্নিতকরণ যন্ত্র ও কাটিং টুলস কী ? 
৫. টেস্টিং টুলস বা পরীক্ষাকরণ যন্ত্র কী ? 
৬. স্প্যানার বা রেঞ্চ কত প্রকার ও কী কী ? 
৭. হ্যামার কত প্রকার ও কি কি ? 
৮. প্রয়াস কী ?
৯. হ্যাক 'স' কোনো ধরনের টুলস ? 
১০. হ্যাকস ব্রেড কত প্রকার ও কী কী ? 
১১. ড্রিলিং কী ? ড্রিল বিট কাকে বলে ? 
১২. ড্রিল মেশিন কী ? 
১৩. কাটিং অ্যাঙ্গেল কাকে বলে ? 
১৪. পয়েন্ট অ্যাঙ্গেল কাকে বলে ? 
১৫. হেলিক্স অ্যাঙ্গেল কাকে বলে ? 
১৬. কোল্ড চিজেল কত প্রকার ও কী কী ? 
১৭. স্ক্র্যাপিং কী ? 
১৮. জ্ঞ্যাপার কাকে বলে? 
১৯. এক্সটারনাল থ্রেড কী? 
২০. ইন্টারনাল থ্রেড কী ? 
২১. রাইট হ্যান্ড ফ্লু-ডে কী ? 
২২. লেট হ্যান্ড ক্রু-থ্রেড কাকে বলে ? 
২৩. গ্রাইন্ডিং কী?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১. টুলস কত প্রকার ও কী কী ? 
২. বিভিন্ন প্রকার হ্যান্ড টুলসের নাম লিখ । 
৩. বিভিন্ন প্রকার মেজারিং টুলসের নাম লিখ । 
৪. বিভিন্ন প্রকার মার্কিং টুলসের নাম লিখ । 
৫. ফার্ম শপে ব্যবহৃত বিভিন্ন কাটিং টুলসের নাম লিখ ।
৬. বিভিন্ন টেস্টিং টুলসের নাম লিখ ।
৭. ফার্ম মেশিনারি সপে ব্যবহ্নিত টুলস এর রক্ষণাবেক্ষণ উল্লেখ কর ? 
৮. স্পানার বা রেঞ্চ এর একটি তালিকা তৈরি কর । 
৯. বিভিন্ন প্রকার প্রায়ার্সের নাম উল্লেখ কর।
১০. হ্যাক 'স' ফ্রেম কত প্রকার ও কী কী ? 
১১. একটি হ্যাক-স এর চিত্র অংকন করে ইহার বিভিন্ন অংশ দেখাও। 
১২. একটি ফ্ল্যাট ফাইলের চিত্র অংকন করে তার বিভিন্ন অংশ দেখাও। 
১৩. সয়িং এর সাবধানতার তালিকা তৈরি কর। 
১৪. হ্যাকস ব্লেড ভাঙার কারণসমূহ বর্ণনা কর। 
১৫. ফাইল কী? ফাইলের কাজ কী ? 
১৬. আকৃতি বা গঠন অনুসারে ফাইল কয় প্রকার ও কী কী ? 
১৭. ড্রিল মেশিনের শ্রেণিবিভাগ উল্লেখ কর। 
১৮. ছিল বিটের অ্যাঙ্গেল কত প্রকার ও কিকি ? 
১৯. কাটিং অ্যাঙ্গেল, পয়েন্ট অ্যাঙ্গেল, হেলিক্স অ্যাঙ্গেল এদের অ্যাঙ্গেলের পরিমান কত ? 
২০. ফিড ও কাটিং স্পিড বলতে কী বোঝায় ? 
২১. চিপিং কি ? হট চিজেলের কাজ কী ? 
২২. জ্যাপার কত প্রকার ও কী কী ? 
২৩. গ্রাইন্ডিং মেশিন কত প্রকার ও কী কী ? 
২৪. বেঞ্চ গ্রাইন্ডিং মেশিনের বিভিন্ন অংশের নাম উল্লেখ কর। 
২৫. বেঞ্চ গ্রাইন্ডিং মেশিনের বিভিন্ন অংশের নাম উল্লেখ কর। 
২৬. ফ্লু-থ্রেড কী ? ক্রু-থ্রেড কত প্রকার ও কী কী ?

রচনামূলক প্রশ্ন

১. ফাইলিং কৌশল বর্ণনা কর । 
২. ফাইলিং এর সাবধানতার তালিকা তৈরি কর। 
৩. সয়িং প্রণালীর রূপ রেখা বর্ণনা কর। 
৪. ড্রিলিং প্রণালী বা কৌশল বর্ণনা কর। 
৫. একটি টুইস্ট ড্রিল বিটের চিত্র অংকন করে ইহার বিভিন্ন চিহ্নিত কর। 
৬. চিপিং প্রণালি বা কৌশল বর্ণনা কর। 
৭. প্রত্যেক প্রকার ফ্ল্যাপারের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও। 
৮. জ্যাগিং প্রণালি বা কৌশল বর্ণনা কর । 
৯. গ্রাইন্ডিং প্রণালি বা কৌশল বর্ণনা কর। 
১০. একটি ক্রু-থ্রেডের চিত্র অংকন করে ইহার বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত কর। 
১১. ফার্ম মেশিনারি শপে ব্যবহৃিত টুলস এর রক্ষণাবেক্ষণ বর্ণনা কর।

Content added || updated By
Promotion